শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ উপদেশাবলিঃ
শুধুমাত্র পড়াশুনায় ভাল হলেই কেউ ভাল ছাত্র-ছাত্রী হয়না। বিদ্যালয়ের শান্তি শৃঙ্খলাসহ পূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে নৈতিকতা, সামাজিক, ধর্মীয় শিক্ষা লাভ, সত্য সুন্দরের অনুশীলন, অন্যায় ও অসৎ কে বর্জন করে চারিত্রিক উৎকর্ষতা অর্জনই একজন ছাত্র-ছাত্রীর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।
প্রত্যক শিক্ষার্থীকে নিম্নোক্ত আচরণবিধি অবশ্যই পালন করতে হবে:
- সহপাঠীদের সাথে হৃদ্যতাপূর্ণ ব্যবহার করতে হবে। উপরের শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে। নীচের শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ ও স্নেহ প্রদর্শন করতে হবে।
- সকল শিক্ষক/শিক্ষিকার প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং তাদের আদেশ, নিষেধ, উপদেশ মেনে চলতে হবে।
- বিদ্যালয়ের নিয়ম শৃঙ্খলা যথারীতি মেনে চলতে হবে। কোন অবস্থাতেই গোলমাল, বারান্দায় দৌড়া-দৌড়ি, হৈ চৈ অথবা কারো প্রতি কোন প্রকার অশোভন আচরণ করা চলবে না।
- বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ, দেয়াল, দরজা, জানালা ইত্যাদি কালি বা পেন্সিল দ্বারা নষ্ট করা বা ভাংচুর করা অথবা শিক্ষার উপকরণাদি এবং তৈজসপত্রাদি নষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার স্ব স্ব পাঠ সামগ্রী রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব যত্নের সাথে পালন করবে। এসব জিনিসপত্র রাখার জন্য স্কুল ব্যাগ ব্যবহার করবে।
- ছাত্র-ছাত্রীর বিদ্যালয়ে কোন অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সাথে আনতে পারবে না, আনলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। বিদ্যালয়ে মোবাইল আনা নিষেধ।
- প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের নির্ধারিত পোশাক পরে পরিচ্ছন্ন অবস্থায় বিদ্যালয়ে আসতে হবে।
- খেলাধুলা এবং অন্যান্য কর্মকান্ডঃ
- লেখাপড়ার সাথে সাথে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী খেলাধুলা এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকবে। যেমন- সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বাগান করা, পরিচ্ছন্ন অভিযান, বৃক্ষরোপণ অভিযান, ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন, যাদুঘর, বোটানিক্যাল গার্ডেন পরিদর্শন এবং বনভোজন, শিক্ষা সফর, স্কাউট, গার্লস গাইড প্রভৃতি বিষয়ে অংশগ্রহণ করবে।
শৃঙ্খলার সাথে ছাত্র-ছাত্রীকে সমাবেশে যোগদান করতে হবে